জানা গেছে, বৃষ্টির সাথে সাথে সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লার গোমতীসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় গোমতীর চরাঞ্চলের আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোমতীতে তীব্র স্রোতের পাশাপাশি পানি বাড়ছে। বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং চরাঞ্চলের অধিকাংশ আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে গোমতীতে পানি বেড়ে যাওয়া এবং স্রোতের কারণে বিভিন্ন উপজেলায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার কুমিল্লা জেলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ইসমাইল ভূঁইয়া জানান, জুন মাসের প্রথম থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কুমিল্লায় ৩৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যার কারণ মৌসুমি নিম্নচাপের বায়ু সক্রিয় রয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে এই অঞ্চলে অতিরিক্ত হারে জলীয়বাষ্প প্রবাহিত হওয়ায় বর্ষার শুরু থেকে অতিরিক্ত হারে বৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি জানান, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টিপাত এবং দমকা বাতাস বয়ে যায়। তাই এই চার মাস নদ-নদীতে চলা নৌকা, ট্রলার ও স্টিমারকে তিন নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখিয়ে যেতে বলে থাকি। তবে এবার শুরু থেকে জুনের শুরু থেকে অতিরিক্ত হাতে বৃষ্টিপাত বাড়ায় ধারণা করা হচ্ছে ৭৫ শতাংশের অধিক পরিমাণে বৃষ্টি হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা আবু ইউসুফ র্ভুঁইয়া বলেন, 'গত কয়েকদিনে বৃষ্টি এবং সীমান্তবর্তী ভারতের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লার গোমতী নদীতে পানি বেড়েছে। বিভিন্ন অংশের চরাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তবে এখনও বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই। আমরা জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোর খোঁজ রাখছি।'